প্রথম পর্ব
বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ড ও মডেলের ভীরে একটি ল্যাপটপ বা একটি নোটবুক কিনতে গেলে আপনি প্রথম প্রথম একটু থতমত খেয়েই যাবেন। আর সেটা যদি হয় আপনার জন্য কম্পিউটার কেনার প্রথম ট্যুর তাহলে তো চক্ষু ছানাবড়া হবার অবস্থা। কোনটা রেখে কোনটা নেবেন। আবার দ্বিধায় পড়ে গেলেন এইটা নিলে ভাল হবে তো? ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যাবেন আমি নিশ্চিত।
এসবের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের ভিতরে থেকেও আপনি যদি এই বিষয়গুলা মাথায় রাখেন তাহলে আশা করি একটি ভাল মানের ল্যাপটপ বা নোটবুক ই কিনতে পারবেন।
১. সহজ বহনযোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ল্যাপটপ বা নোটবুকের বহনযোগ্যতা নির্ভর করে এর সাইজ, ওজন এবং ব্যাটারীর স্থায়ীত্বের উপর। আপনাকে চিন্তা করতে হবে, সব সময় এটি আপনার সাথে থাকবে কিনা, আপনি কি এর উপরই নির্ভরশীল কি না? আপনি সর্বত্র এক্সটার্নাল পাওয়ার দেয়ার ব্যবস্থা পাবেন কিনা?
ল্যাপটপ সাধারণত ১ থেকে ৬ কেজি ওজনের হয়, কিন্তু এটা আসলেই নির্ভর করে এর মডেল ও এর মধ্যে সংযুক্ত অন্যান্য ডিভাইসের উপর। যেমন -স্ক্রীণ, স্টোরেজ, ডিস্ক ড্রাইভ সবই ওজনকে প্রভাবিত করবে।
বড় স্ক্রীন এবং অধিক ডিস্ক ড্রাইভ সবসময়ই ব্যাটারী স্থায়ীত্বকে কমিয়ে দেয়। বিক্রেতারা তাদের ব্রান্ডের ওজন বলবে এর স্পেসিফিকেশন দেখে, কিন্তু আপনাকে দেখতে হবে এই স্পেসিফিকেশনের সাথে আপনি যা যা চাইছেন তা সংযুক্ত আছে কি না। অধিকাংশ ব্যাটারীই লিথিয়াম আয়ন (Li-Ion) যা আপনাকে এক থেকে তিন ঘন্টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে চলতে সাহায্য করবে। কিন্তু উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন (Higher celled) ব্যাটরী ডিসচার্জের সময়টাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্রোগ্রাম এবং মূল্য :
যদি বহনযোগ্যতাটা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হয়, তাহলে ব্যাটারীর স্থায়ীত্ব আর ওজন নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। বড় প্রসেসর, বড় স্ক্রীন ও মেমরী দিকে নজর দিতে পারেন। কিন্তু তার আগে চিন্তা করুন আপনি কি ধরণের কাজ করবেন। যদি স্ক্রীন সাইজ ও মেমরী ক্যাপাসিটি আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটায় তাহলে এ চিন্তাটা না করাই ভাল। কারণ কম র্যাম ব্যবহার করে এবং কম গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেজ ওয়ালা প্রোগ্রামের জন্য ১৫ বা ১৭ ইঞ্চি স্ক্রীনের চেয়ে ১২/১৪ ইঞ্চি স্ক্রীনই ভাল। তা না হলে বড় স্ক্রীন আর বড় প্রসেসরকেই প্রাধান্য দিতে পারেন। আরো ভাল হয় যদি টিভি কার্ড বা ডিভিডি বার্ণার এর মতো এক্সেসরিজগুলো এক্সটার্নাল/পোর্টেবল ব্যবহার করেন।
আপনি যদি স্রেফ মেইল চেক, নেট ব্রাউজ এবং সাধারণ মানের টাইপিংয়ের কাজের জন্য ল্যাপটপ বা নোটবুক ব্যবহার করতে চান তাহলে ছোট সাইজের স্ক্রীণ ও প্রসেসরের দিকে নজর দেয়াই ভাল। কিছু কিছু জিনিস ল্যাপটপ বা নোট বুকের মূল্যকে অধিক মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যেমন আপনি যদি ডিভিডি রম না নিয়ে ডিভিডি রাইটার নেন, হার্ড ড্রাইভ ক্যাপাসিটি যদি ৪০ জিবি'র বেশী নিতে চান, ১৭ ইঞ্চি স্ত্রীন নিতে চান, ওয়্যারলেস ফিচার যদি চান তাহলে ল্যাপটপের দাম একটু বেশীই পড়বে।
দ্বিতীয় পর্ব
1 comments:
ভাল লাগল, জলদি দ্বীতিয় পর্ব ছাড়েন। ল্যাপটপ কেনা জরুরী।
Post a Comment